ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রতনপুর গ্রামে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীর উপর বার বার নির্যাতন চালাচ্ছে পাষন্ড স্বামী মোঃ ইব্রাহীম। বর্তমানে গুরুতর আহত স্ত্রী রোকেয়া বেগম ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রতনপুর গ্রামের নজির মেম্বার বাড়ির আবদুর রশিদের ছেলে মোঃ ইব্রাহীমের সাথে প্রায় ১০ বছর আগে দৌলতখান উপজেলার চরপতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের মোঃ ফিরোজের মেয়ে রোকেয়া বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর উভয়ের দাম্পত্য জীবন কিছুদিন ভালো কাটলেও পরবর্তিতে স্বামী ইব্রাহীম মোটা অংকের যৌতুকের টাকা দাবী করে স্ত্রী রোকেয়ার বাবা দিনমজুর ফিরোজের কাছে। এমতাবস্থায় মেয়ের সুখের জন্য দিনমজুর বাবা যৌতুক লোভি জামাই ইব্রাহীমকে কয়েক ধাপে প্রায় ৫লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করে। এতেও ইব্রাহীমের সংসারে শান্তি মেলেনি দুই সন্তানের জননী রোকেয়া বেগমের। ফের যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমের উপর চাঁপ প্রয়োগ করে পাষন্ড স্বামী ইব্রাহীম। বার বার ইব্রাহীমের এ অন্যায় আবদার পুরণ করতে ব্যর্থ হয় রোকেয়ার বাবা। এ কারণে ইব্রাহীম প্রায়ই অমানুষিক নির্যাতন চালাতো রোকেয়ার উপর। গত ২০/০৪/২৫ইং তারিখ বিকেলে এ যৌতুকের টাকাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী রোকেয়ার সাথে ঝগড়া হয় স্বামী ইব্রাহীমের। পরবর্তিতে ইব্রাহীম ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী রোকেয়ার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালয়। এতে রোকেয়ার মাথা, চোখ, কান ও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় গুরুতর ফুলা জখম হয়। পরে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেণ। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ভূক্তভোগী গৃহবধু রোকেয় বেগম ও তার পরিবার।