ডেস্ক রিপোর্ট
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত Comprehensive Economic Partnership Agreement (CEPA) অগ্রসরণের লক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ। এই পদক্ষেপের ফলে কৃষি, অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
ইইউ ও ইন্দোনেশিয়া গত কয়েক বছর ধরে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছিল, যার মূল লক্ষ্য হলো দুই পক্ষের মধ্যে পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ প্রবাহকে সহজ করা। এবারের রাজনৈতিক সমঝোতা সেই আলোচনায় গতি আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
চুক্তিটি কার্যকর হলে ইউরোপীয় কৃষিপণ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর গাড়ি রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশাধিকার সহজ হবে। একইভাবে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল, সামুদ্রিক পণ্য এবং টেক্সটাইল ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে পারে।
ইইউ এক বিবৃতিতে জানায়,
“এই রাজনৈতিক সমঝোতা শুধু বাণিজ্য নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু সহযোগিতা এবং শ্রম অধিকারেও নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করবে।”
তবে পরিবেশবাদীদের একটি অংশ এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে পাম অয়েল রপ্তানির কারণে বন উজাড় ও জলবায়ু ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায়।
- মোট বাণিজ্যের পরিমাণ: প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ইউরো
- ইইউ ইন্দোনেশিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার
- প্রধান পণ্য: কৃষি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, খনিজ তেল
এই রাজনৈতিক সমঝোতা একদিকে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে, অন্যদিকে ইইউর এশিয়ায় কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকার ইস্যুতে চুক্তিটি কতটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।