ডেস্ক রিপোর্ট
গাজা উপত্যকার একটি বেসামরিক এলাকায় পানি সংগ্রহে ব্যস্ত শিশুদের লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রে কমপক্ষে আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ডজনখানেকের বেশি মানুষ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) ঘটনার জন্য “যান্ত্রিক ত্রুটি”কে দায়ী করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকালে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি জলাধারের পাশে শিশুরা পানি সংগ্রহ করছিল, সেই সময় হঠাৎ একটি ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে। ঘটনাস্থলে শিশুরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে এবং আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে ৬ জন শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
IDF এক বিবৃতিতে জানায়,
“একটি লক্ষ্যবস্তুর দিকে চালানো অস্ত্র সিস্টেমের অপারেশনাল ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।”
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ব্যাখ্যাকে যথেষ্ট মনে করছে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW) এক বিবৃতিতে বলেছে,
“বেসামরিক স্থানে এমন হামলা কোনোভাবেই ‘দুর্ঘটনা’ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে দায় এড়ানো যায় না। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের শামিল।”
২০২৫ সালের গোড়ার দিক থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ ফের তীব্র হয়ে উঠেছে। গাজার বিদ্যুৎ ও পানির সংকট চরমে পৌঁছেছে, ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাইকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে একদিকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মানবিক ব্যর্থতা স্পষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে গাজাবাসীর দৈনন্দিন জীবনের করুণ বাস্তবতাও সামনে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও মানবিক সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করা।