ডেস্ক রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ববাজারে নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ স্টক এক্সচেঞ্জে মন্দাভাব দেখা গেছে। আজকের লেনদেন ছিল শান্ত এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা প্রবল ছিল।
সৌদি আরবের তদাউল (TASI) সূচক সামান্য বৃদ্ধি পেলেও, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনের বাজারে সূচক পতন ঘটে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবি ও দুবাইয়ের স্টক এক্সচেঞ্জও মিলিতভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখায়।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় একাধিক দেশের ওপর নতুন শুল্ক ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু হতে পারে চীন, ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু রপ্তানিকারক দেশ।
এই অবস্থান বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তেলনির্ভর অর্থনীতি ও বৈশ্বিক রপ্তানিনির্ভর খাতগুলো শঙ্কার মধ্যে পড়েছে।
দুবাইয়ের একটি শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজ জানায়—
“ট্রাম্পের নীতির প্রতি বিনিয়োগকারীরা এখনও আস্থা পাচ্ছে না। বিশ্ববাজারে বাণিজ্য যুদ্ধের আতঙ্ক আবার ফিরে আসছে।”
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সরকারি বিনিয়োগে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ঘোষণা এলেও, বাজারে তা খুব একটা ইতিবাচক সাড়া ফেলেনি।
দেশ | স্টক সূচকের পরিবর্তন |
---|---|
সৌদি আরব | +0.3% বৃদ্ধি |
কাতার | –0.5% পতন |
কুয়েত | –0.7% পতন |
আবু ধাবি | –0.4% পতন |
দুবাই | –0.2% পতন |
বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এতটাই প্রভাবশালী যে, তার বাণিজ্য নীতির সামান্য পরিবর্তনেও মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক ভারসাম্য নড়ে ওঠে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কৌশলগত স্থিতিশীলতা প্রয়োজন, তা না হলে আরও বড় পতনের আশঙ্কা থেকে যাবে।