মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির নতুন তথ্য প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় এশিয়ার পুঁজিবাজারগুলোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অপরদিকে, ডলারের মান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত জাপানি ইয়েনের বিপরীতে যা এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
বাজারের প্রতিক্রিয়া:
- জাপানের নিক্কেই সূচক সামান্য কমেছে
- দক্ষিণ কোরিয়ার KOSPI ও হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকেও নিম্নমুখী চাপ
- চীনের বাজার তুলনামূলক স্থির থাকলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনোভাব শঙ্কামুক্ত নয়
ডলার ইনডেক্স (DXY) প্রায় ১০৩ পয়েন্ট স্পর্শ করেছে, যা চলতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
“মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি আশানুরূপ না হওয়ায় ফেড দ্রুত সুদের হার কমাবে না—এই ধারণা ডলারকে শক্তিশালী করেছে।”
মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন বলছে, নতুন শুল্ক নীতির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে করে বাজারে ফেডার নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপ কমছে না বরং তারা আরও ধৈর্যশীল অবস্থান নিচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা কমে যাচ্ছে, যার প্রভাব সরাসরি এশীয় বাজারে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যতদিন না ফেড সুদের হারে স্বচ্ছ বার্তা দেয়, ততদিন আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে অস্থিরতা চলবে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ ও ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতিও বাজারকে প্রভাবিত করছে।