ডেস্ক রিপোর্ট
জাপানের শাসক জোট উচ্চকক্ষের (Upper House) সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নীতিনির্ধারণে স্থবিরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ইয়েনের মান শক্তিশালী হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, সংসদীয় জটিলতা ও নীতিগত অচলাবস্থার কারণে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-জাপান শুল্ক আলোচনায় টোকিওর অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ফলে আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন।
বিশ্বব্যাপী ইয়েনকে দীর্ঘদিন ধরে ‘নিরাপদ সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজনৈতিক ঝুঁকি কিংবা ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে বেরিয়ে ইয়েনের দিকে ঝুঁকেন।
এই প্রেক্ষাপটে, সোমবারের লেনদেনে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মান এক ধাক্কায় নিচে নেমে আসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “এটি কেবলমাত্র মুদ্রাবাজার নয়, বরং শেয়ারবাজার ও বন্ডবাজারেও প্রভাব ফেলবে, যদি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।”
উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো মানে আইন পাস করাতে শাসক জোটকে এখন বিরোধীদলের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হবে। এতে করে মুদ্রানীতি, বাজেট, এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় গতি কমে আসতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন শুল্ক আলোচনায় জাপানের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া এখন আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী কয়েক সপ্তাহ জাপানি বাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক সমাধানের গতি, নীতিগত বার্তা এবং আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে পরিচালিত হবে—এসবই ইয়েনের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে।