ডেস্ক রিপোর্ট
জাপানে সরকারবিরোধী নির্বাচন ফলাফলের পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলেও, এশিয়ার শেয়ারবাজার ও জাপানি ইয়েন বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন আসন্ন কর্পোরেট আয়ের রিপোর্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলমান বাণিজ্য আলোচনার দিকে।
বিশ্ববাজারে সাধারণত রাজনৈতিক অস্থিরতা স্বল্প-মেয়াদে চাপ তৈরি করে। তবে সোমবারের লেনদেনে প্রধান এশীয় সূচকগুলোতে উল্লেখযোগ্য কোনো পতন দেখা যায়নি। জাপানের নিখেই ২২৫ সূচক সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থিতিশীল থাকে, আর ইয়েনের মানও অপেক্ষাকৃত সুসংহত থাকে।
চলতি সপ্তাহে এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানিগুলোর দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও পণ্যখাতে আয়ের প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, “নির্বাচনের ফলাফল সত্ত্বেও, বাজারে তাৎক্ষণিক আতঙ্ক দেখা যায়নি। বিনিয়োগকারীরা এখন ভবিষ্যৎ লাভ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিতের দিকেই বেশি মনোযোগী।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। সম্ভাব্য শুল্ক হ্রাস ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি এশীয় রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “বাজার এখন অনিশ্চয়তার মধ্যেও মূলত মৌলিক অর্থনৈতিক তথ্য এবং লাভজনকতার প্রবণতা বিশ্লেষণেই ব্যস্ত রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক ঝুঁকি কিছুটা হলেও সাময়িকভাবে ছায়াচ্ছন্ন হয়ে আছে।