ডেস্ক রিপোর্ট
বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) নতুন রাশিয়া-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার প্রভাব, মধ্যপ্রাচ্যে তেল উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা, এবং বৈশ্বিক চাহিদার অনিশ্চয়তা পর্যালোচনা করছেন।
সোমবার লেনদেনের সময় Brent crude এবং West Texas Intermediate (WTI)—এই দুটি প্রধান সূচকে সামান্য ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়। তবে সামগ্রিকভাবে বাজারে স্থিতাবস্থা বজায় ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন একদফা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার ফলে রাশিয়ার তেল সরবরাহ শৃঙ্খল আরও চাপে পড়তে পারে। তবে, বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সীমিত ছিল, কারণ রাশিয়া ইতোমধ্যেই কিছু বিকল্প রপ্তানি চ্যানেল তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের কার্যকারিতা ও রাশিয়ার বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে বাজারে ভবিষ্যৎ দামের গতি নির্ধারিত হবে।”
ওপেক প্লাস (OPEC+) জোটের কিছু সদস্য দেশ, বিশেষত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, জুলাই মাসে উৎপাদন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। এতে করে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম কমার সম্ভাবনা থাকলেও, এখনো পর্যন্ত সেটি তেমন প্রভাব ফেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন ও জাপানের মধ্যে চলমান শুল্কবিষয়ক টানাপোড়েন তেলের বৈশ্বিক চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বাণিজ্য ও উৎপাদন খাতে মন্দা দেখা দিলে তেলের ব্যবহার কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষণ বলছে, “বর্তমানে বাজার এমন এক জায়গায় রয়েছে যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, ভূরাজনৈতিক সংঘাত, এবং চাহিদার অনিশ্চয়তা একসঙ্গে প্রভাব ফেলছে—যার ফলে দাম বড় ধরনের ওঠানামা ছাড়াই সীমিত গতিতে এগোচ্ছে।”