বিশ্বের বুকে লজ্জিত এক অধ্যায় নন এমপিও শিক্ষকবৃন্দ

এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

সবাই জানেন বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ।যা কাজ হবে ভেবে চিন্তে করা উচিৎ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নির্দিষ্ট কোন শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন নিতে হয়।যদি বেতন দেওয়ার সামর্থতা না থাকে তাহলে কেন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এ রকম টালবাহানা জাতির সাথে বেইমানি ছাড়া কিছু নয়।ধীক্ষার জানাই এ রকম নিয়ম ব্যবস্থা কে।

আজ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৩০ বছর ধরে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন।যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা পরিচালনা করেন তারা কি পারতেন,এভাবে বিনাবেতনে জীবন অতিবাহিত করতে?দুঃখের কথা বলতে গেলে নিজেকে ধরে রাখা যায় না।নন এমপিও শিক্ষকবৃন্দ পেটের ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে বেতন বা কিছু বরাদ্দ চাইতে ঢাকাতে গেলেন পক্ষান্তরে বাংলাদেশ সরকারের কিছু পুলিশ নামের কলংঙ্ক জাতিকে দিয়ে প্রিপার স্প্রে করে পাবনার এক শিক্ষককে মেরে ফেললেন এটার নাম কি স্বাধীনতা?

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দলাদলি কেন?প্রতিষ্ঠানে কি কোন নির্দিষ্ট দলের নাম লিখা থাকে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতি,ধর্ম,বর্ণ,নির্বিশেষে সবাই শিক্ষা গ্রহন করে তাহলে কেন রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের আমরা সবাই মিলে ঢাকাতে গেলাম এম,পি মহোদয়ের নিকট নিজ নিজ সমস্যার কথা বলতে পক্ষান্তরে এম,পি মহোদয় আমাদের প্রতিষ্ঠানের কথা শুনে তার পি,এস কে বলে দেন,ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার কোন কথা নেই।তাহলে কেন কি অপরাধ ছিলো আমাদের।প্রতিষ্ঠান এমপিও করলে কি এমন ক্ষতি আমরা বুঝতে পারি না।আমাদের টাকা আমাদেরকে দিবে তাতে তাদের তো সমস্যা থাকার কথা নয়।কারন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো চলে বাংলাদেশের জনগনের টেক্সের টাকায়।বাংলাদেশের এমপি,মন্ত্রী,বড় বড় ভিআইপি লোকদের বিদেশে বাড়ি না থাকলে না কি স্টেটাস নষ্ট হয়ে যায়।হাইরে দেশ যাদের টাকায় চলে দেশ সেই জনগনই না খেয়ে পথের ধারে পড়ে আছেন আর জনগনের টাকায় তারা বিদেশে বাড়ি বানানো সহ সুইচ ব্যংকে টাকা জমানো নিয়ে ব্যস্ত।

অনেক সময় প্রকাশ পায় প্রধান মন্ত্রী জানেনই না এত প্রতিষ্ঠান নন এমপি আছে।এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল যখন প্রকাশ পায় তখন প্রধান মন্ত্রীর স্বাক্ষর ছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হয় না।তাহলে কি প্রধান মন্ত্রী জানেন না এত প্রতিষ্ঠান ফলাফল হচ্ছে আর বেতন প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এত। তাহলে তো হিসাব মেলে না।প্রধান মন্ত্রী না জানলে ও তো শিক্ষা অধিদপ্তর জানেন।তাহলে কি শিক্ষা অধিদপ্তর গুলো প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে জানান না?

এখন অন্য কিছু জানার বিষয় আমাদের নায় তবে প্রধান উপদেষ্টা জনাব ডঃ মোঃ ইউনুস সাহেবের কাছে আকুল আবেদন বেতন না দিলেও কিছু বরাদ্দ দিয়ে মানুষ গড়ার কারিগরকে বাঁচান। ডঃ মোঃ ইউনুস সাহেব একসময় শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত ছিলেন সেই দিক দিয়ে আপনি শিক্ষকের এই করুন আর্তনাদের দিকে তাকিয়ে প্রতিষ্ঠান গুলো এমপিও করে জাতির কারিগরকে সংসার নামক খাঁচা থেকে মুক্ত করবেন।

ইদানিং শিক্ষা বোর্ড গুলো নন এমপিও শিক্ষকদের সাথে বেইমানি শুরু করেছেন।তাদেরকে অনুরোধ করলে বরং তারা আমাদের উপর রাগান্বিত হয়।খাতা পরীক্ষক হতে চাইলে ঘুষ চায়,না হলে খাতা নায় টাকা দিলে ম্যাসেস আসে আর টাকা না দিলে ম্যাসেস নাই।একজন শিক্ষক বলেন আমি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একজন অফিসার কে মোবাইল ফোনে আমার দুঃখের কথা বলছি স্যার আমাকে খাতা পরীক্ষকের দায়িত্ব দিলে আজ ২৫-৩০ বছর থেকে বিনা বেতনে চাকুরী করছি খাতা দেখলে কিছু টাকা পেলে সংসারের ছেলে মেয়েকে একটু সরকারী অনুদানের কথা বলতে পারতাম।পক্ষান্তরে অফিসার সাহেব বলছেন চাকুরী বাদ দেন। এটা কি, একজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মুখের বানী হতে পারে,এটা দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।

শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রায় প্রায় পত্র আসে এ নিয়মে ছেলেমেয়েদের পড়াতে হবে।আচ্ছা যাদের পেটে ক্ষুধা আছে তারা কি ক্ষুধার্ত মন মানসিকতা নিয়ে পাঠে মননিবেশ করতে পারবেন।শিক্ষকতা এমন এক পেশা যার লজ্জাবোধ একটু বেশি।তারা পারেন না কারও কাছে কিছু চাইতে মনের দুঃখ মনে নিয়ে ছেলেমেয়েদের মলিন মুখ দেখে আড়ালে কাঁদা ছাড়া উপায় থাকে না।তাই আমাদের শ্রদ্ধাভাজন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন সমস্যাটি সমাধানমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Facebook
WhatsApp
Telegram
Twitter
LinkedIn
Email
Print

আরও পড়ুনঃ

পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে জখম, আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি পটুয়াখালীতে সদর উপজেলা বিএনপির

দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা চতুর্থ দিনের বৃষ্টিতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, মৃত ৪, নিখোঁজ ২

ডেস্ক রিপোর্ট টানা চারদিনের প্রবল বর্ষণে দক্ষিণ

প্রধান সংবাদ

“দ্বীপের রানী ভোলায় আমরা করি বসবাস”: ভোলার মানুষের মুখে মুখে নতুন গান

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি সম্প্রতি “আমরা

ভোলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ২৩ হাজার ৭০০ জন

নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন সারা

পটুয়াখালীর ২২ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন, উৎসবে মাতোয়ারা গ্রামবাসী

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর ২২ গ্রামের প্রায়

লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের রঙিন স্বপ্ন

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সূর্যমুখী চাষ: কৃষি অভিযোজনের

মায়েদের উৎসাহিত করতে ভোলায় মা সমাবেশ

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা সদর উপজেলার

ডেস্ক রিপোর্ট জীবিকার তাগিদে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন রিপন প্যাদা।...

এক সপ্তাহেই হারালেন স্ত্রী-সন্তান, শেষে নিজেও চলে গেলেন… আগুনে ভস্মীভূত হলো পটুয়াখালীর রিপনের স্বপ্নের সংসার

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি ভোলার মনপুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনায়...

মনপুরায় নৌবাহিনীর অভিযান: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুজন গ্রেফতার, ২৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের...

পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পথে, সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনে উত্তাল জনতা

ডেস্ক রিপোর্ট পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের দিয়ারআমখোলা গ্রামে মোসা. মারজিয়া...

কলাপাড়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামীর বক্তব্যে উঠে এলো পারিবারিক উত্তেজনার ইঙ্গিত

ডেস্ক রিপোর্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন...

পটুয়াখালীতে ২৪ শহীদের স্মরণে ২৪টি বৃক্ষরোপণ: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ