ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসনের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে “কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যাচারমূলক বক্তব্য” দেওয়ার প্রতিবাদে বাউফলে উত্তাল হয়ে ওঠে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেলে পৌর শহরে পৃথক দুই গ্রুপের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনের ঘনিষ্ঠ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জব্বার মৃধা ও সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ গ্রুপ। তারা দালাল মার্কেট থেকে মিছিল শুরু করে উপজেলা পরিষদ গেট ও শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাবলিক মাঠে আ.স.ম ফিরোজ মুক্ত মঞ্চে এক প্রতিবাদী সভা করেন।
অন্যদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ একই সময়ে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম তালুকদার, এবং উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন। তারা এমপি ব্রিজ থেকে গোলাবাড়ি হয়ে মিছিল করে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তালুকদারের বাসভবনের সামনে এসে কার্যক্রম শেষ করেন।
দুই গ্রুপের মিছিল থেকেই শোনা যায়—
“ষড়যন্ত্রকারীদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও”,
“জামাত-শিবির-রাজাকার মিলে মিশে একাকার”,
“দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার”—সহ আরও নানা প্রতিবাদী স্লোগান।
নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে দাবি করেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পেছনে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কাজ করছে, যা প্রতিহত করতে বিএনপির প্রতিটি স্তরকে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে নামতে হবে।
বাউফলে বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ গ্রুপভিত্তিক কর্মসূচি দলীয় ঐক্যের বাস্তব চিত্র তুলে ধরলেও, কেন্দ্রীয় ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে। বিশেষ করে তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে দলীয় আবেগ ও প্রতিক্রিয়া তৃণমূলে কতটা সক্রিয় রয়েছে—এই কর্মসূচিগুলো তারই প্রতিফলন।