ডেস্ক রিপোর্ট
চীন নতুন করে রেয়ার আর্থ (Rare Earth) খনিজের ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা দেশটির ভূরাজনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করলেও বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পে নেমে এসেছে উদ্বেগের ছায়া।
- রেয়ার আর্থ হলো ১৭টি দুষ্প্রাপ্য ধাতব উপাদান
- ব্যবহৃত হয় স্মার্টফোন, ব্যাটারি, চিপ, চুম্বক, সামরিক যন্ত্র, ইলেকট্রিক গাড়ি ও স্যাটেলাইটে
- চীন বিশ্বের ৭০% এর বেশি রেয়ার আর্থ সরবরাহ করে
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে:
এখন থেকে উচ্চমানের ম্যাগনেট উৎপাদনে ব্যবহৃত কিছু রেয়ার আর্থ উপাদান রফতানির জন্য সরকারিভাবে বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এই পদক্ষেপে বিশ্বের প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানিগুলো যেমন Apple, Tesla, Lockheed Martin-এর মতো কোম্পানিগুলো পড়েছে চাপে।
বিশ্লেষকদের মতে,
“এই রফতানি নিয়ন্ত্রণ চীনের কূটনৈতিক চাপ তৈরির একটি অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাপানের উপর প্রভাব বিস্তারেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চাল।”
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্কযুদ্ধ ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেই অনেকে মনে করছেন।
- রফতানি কমলে সরবরাহ সংকট তৈরি হবে, যা বিশ্বব্যাপী পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে
- অনেক কোম্পানি এখন বিকল্প উৎস বা পুনঃচক্রায়ন প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে
- তবে অল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয় বলে উদ্বেগ রয়েছে